মূল পাতা রাজনীতি আওয়ামী লীগ ছিনতাই ও শ্লীলতাহানী মামলায় ঢাবি ছাত্রলীগ নেতা গ্রেপ্তার
রহমত নিউজ 20 January, 2023 11:34 AM
এক নারীর সাথে অশ্লীলতা, তার স্বামীকে মারধর ও ছিনতাইয়ের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) এক ছাত্রলীগ নেতা গ্রেপ্তার হয়েছে। গ্রেপ্তার হওয়া ওই নেতার নাম তানজির আরাফাত তুষার। বুধবার রাতে তাকে গ্রেপ্তার করে শাহবাগ থানা-পুলিশ।
তুষার বিশ্ববিদ্যালয়ের কবি জসীমউদ্দিন হল শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়াও, বর্তমানে তিনি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকতের অনুসারী বলে পরিচিত। এর আগে মঙ্গলবার শাহবাগ থানায় দু’জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতনামা আরও ৫ থেকে ৬ জনের বিরুদ্ধে এ মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগী ওই নারী। মামলায় তুষার ছাড়াও আইন বিভাগের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র রাহুল রায়সহ আরও ৫-৬ জন অজ্ঞাতনামাকে আসামি করা হয়েছে। রাহুল বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদ্য সাবেক সদস্য। এর আগে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদ ছাত্রলীগের উপ-অর্থবিষয়ক সম্পাদক ছিলেন। বর্তমানে তিনি বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেনের অনুসারী বলে জানা যায়।
মামলার এজাহারে বলা হয়, মামলার বাদী এবং তার স্বামী রমনার কালি মন্দির থেকে পূর্ব পাশের শিখা চিরন্তনের গেট দিয়ে মোটরসাইকেলযোগে বের হওয়ার পথে তাদের গতিরোধ করা হয়। এ সময় বাদীকে হেনস্তা করে আসামিরা। পরবর্তীতে মোটরসাইকেল থেকে বাদীর স্বামীকে নামিয়ে পাশে থাকা চেয়ার দিয়ে আঘাত করা হয় এবং ১ লাখ ২০ হাজার টাকা দামের স্বর্ণ হাতিয়ে নেওয়া হয়।
এ নিয়ে মামলার বাদী নাম না উল্লেখ করার শর্তে বলেন , সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মোটরসাইকেল নিয়ে শিখা চিরন্তনের পাশে গেলে একজন আমাকে দেখে অশালীন অঙ্গভঙ্গি করে। এ সময় একজন গালি দিতে দিতে আমার দিকে তেড়ে আসে এবং বলতে থাকে যে, ‘ওকে ধর’। তখন তাদের সাথে ধাক্কাধাক্কি হয়। এক পর্যায়ে আরেক দল আমাদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে আক্রমণ করে। আমাদের দুজনকে নিয়ে টানাহেঁচড়া শুরু করে।
তিনি আরও বলেন, আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী হিসেবে লজ্জিত। এমন একটা ঘটনার মুখোমুখি হব ভাবিনি। এ ঘটনায় জড়িতদের মধ্যে জগন্নাথ হলের রাহুল ও জসিম উদ্দিন হলের তুষারকে চিহ্নিত করা হয়। এদের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ৫-৬ জনের নামে মামলা করেছি।
ডিএমপির রমনা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. শহিদুল্লাহ জানান, এ মামলায় একজনকে (তুষার) গ্রেপ্তার করে কোর্টে চালান করা হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলছে।
ঢাবি শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারীবাহিনী বিষয়টি দেখছে। আমাদের পক্ষ থেকেও সহযোগিতা করা হবে। অন্যায়ভাবে যেন কাউকে হয়রানি করা না হয় সে বিষয়টিও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারীবাহিনী বিবেচনায় রাখবে বলে আশা রাখি।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রকটর অধ্যাপক ড. একেএম গোলাম রব্বানী বলেন, যেহেতু এটি আইনের বিষয়; তাই আইনশৃঙ্খলাবাহিনী বিষয়টি দেখছে। -আরটিভি অনলাইন।